সম্পত্তি কর বীমা (লাভবিহীন),টেবিল নং-৪১ ।
সম্পত্তি কর আইন,১৯৫০ অনুসারে কৃষি কাজে ব্যবহৃত সম্পত্তিসহ বাংলাদেশে অবস্থিত সকল প্রকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির উপর সম্পত্তি কর প্রদেয়। কোন ব্যক্তির মৃত্যুজনিত কারনে হস্তান্তরযোগ্য সম্পত্তির মূল্য টাকা ২,০০,০০০ (বর্তমান সীমা) এর অধিক হলে সম্পত্তি কর প্রদেয় হবে।সম্পত্তি বলতে কি বুঝায়ঃএই আইনে সম্পত্তি শব্দটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে এবং ইহা সকল স্থাবর-অস্থাবর মীমাংসিত বা অমীমাংসিত সম্পত্তিকে বুঝায়। সাধারণতঃ নিম্নবর্ণিত সম্পত্তির উপর সম্পত্তি কর প্রদান করতে হবে।
(ক) ব্যক্তিগত সম্পত্তিঃ- মৃত ব্যক্তির নিজস্ব সম্পত্তি, যেমন নগদ টাকা,গহনা,ঘরের আসবাবপত্র ও সাজসারঞ্জাম, গাড়ী, শেয়ার, সিকিউরিটি,ভূ-সম্পত্তি কৃষি জমি ইত্যাদি
(খ) যুগ্ম পুঁজি বিনিয়োগঃ টাকা পয়সার লেনদেন ব্যতিরেখে যুগ্ম নামে হস্তান্তরকৃত পুঁজি বিনিয়োগ এবং যে সমস্ত যুগ্ম পুঁজি বিনিয়োগ প্রথম হতেই মৃত ব্যক্তির অংশ আছে সে অংশ সম্পত্তি করের
আওতাভূক্ত হবে।
(গ) দানঃ সকল প্রকার দানের জন্য সম্পত্তি কর প্রদেয়। একমাত্র মৃত্যুর ৩ (তিন) বছর পূর্বের দান এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান সম্পত্তি কর হতে রেয়াত পায়। মৃত্যু শয্যায় দান করা সম্পত্তির উপর যদি
দাতা নিজের জন্য কোন সুবিধা সংরক্ষিত রাখেন তাহলে সে দান সম্পত্তি করের আওতাভূক্ত হবে।
(ঘ) অংশীদারকৃত বা অচ্ছিভূতঃ- কোন সম্পত্তি সংরক্ষন ক্ষমতাসমেত অংশীদারকৃত বা অছিভূত হলে সম্পত্তি করের আওতায় বাড়বে।
“সম্পত্তি কর বীমা” পরিকল্পনার অধীনে বীমা গ্রহণ করলে বীমা সম্পূর্ণরূপে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য প্রেসিডেন্টের নামে স্বত্ব-নিয়োগকৃত থাকে। সম্পত্তি কর বীমা ইস্যু করার জন্য বিশেষ নিয়মাবলী অনুসরণ করা প্রয়োজন হয়। সুতরাং এই ধরনের বীমা প্রস্তাব সম্পাদনের পূর্বে আনুসংগিক প্রয়োজনাদি/নিয়মাবলী কর্পোরেশনের রিজিওনাল অফিস থেকে জেনে নিতে হবে।
“সুবিধাবলী”
এই বীমা গ্রহণ করলে একজন বিত্তশালী মানুষ স্বল্প প্রিমিয়াম দিয়ে তার মৃত্যুর পর অবশ্য প্রদেয় মোটা অংকের সম্পত্তি-কর পরিশোধের বিষয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারেন। একই সাথে তার উত্তরাধিকারীরা ও সম্পত্তি করজনিত অবশ্যম্ভাবী আর্থিক সংকট থেকে মুক্ত থাকবেন। এই বীমা থেকে আয়কর রেয়াতও পাওয়া যায়।