(ক) অত্র কর্পোরেশনের আজীবন বীমা কিন্তু সত্যি সত্যি আজীবন বীমা নয়। কারণ বীমা গ্রাহক যদি ৮৫ বছর বয়স পর্যন্ত জীবিত থাকেন তবে তিনি নিজেই বীমাকৃত টাকা পেয়ে যাবেন। তাই আসলে এটা মোটামুটি দীর্ঘ মেয়াদী বীমা।
(খ) অপর পক্ষে বার্ধক্যজনিত কারণে বীমাগ্রহণে আয় কমে যাওয়ার সম্ভাবনা। সেদিকে পুরোপুরি লক্ষ্য রেখে প্রিমিয়াম ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত সীমিত করা হয়েছে।
(গ) প্রিমিয়ামের হার সব চাইতে কম। সর্বনিমড়ব ব্যয়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার সুবিধা এই বীমায় পাওয়া যাবে।
(ঘ) এই বীমার সঙ্গে দুর্ঘটনা কিংবা দুর্ঘটনা ও পঙ্গুত্ব বীমা যোগ করা যেতে পারে। বীমাগ্রাহকের ৬০ ও ৫৫ বছর বয়সের সময় যথাক্রমে এই অতিরিক্ত সুবিধাগুলি বাতিল হয়ে যাবে।
(ঙ) এই বীমায় পারিবারিক নিরাপত্তা সুবিধা যোগ করা যেতে পারে। অবশ্য তার সর্বোচ্চ মেয়াদ ২০ বছরের বেশী হবে না।
(চ) প্রদত্ত প্রিমিয়াম নির্দিষ্ট সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত আয়কর রেয়াত পায়। এই পরিকল্পনায় বীমায় পরিমাণ ৫,০০০ টাকার কম হলে কিস্তি অবশ্যই বার্ষিক হতে হবে। ৫,০০০ টাকার বেশী কিন্তু ১০,০০০ টাকার কম হলে ষান্মাসিক কিস্তি গ্রহণযোগ্য হবে।