জীবন বীমা কর্পোরেশনের জনপ্রিয় পলিসিসমূহের বিবরণ
১. মেয়াদী সুবিধাযুক্ত পেনশন বীমা পলিসি (তালিকা নং-৬০)
ভূমিকা:
বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশে দ্রুত গতিতে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বয়স্ক লোকের অবসর জীবন নিরুদ্বেগ,স্বচ্ছল ও শান্তিময় করার জন্য জীবন বীমা কর্পোরেশন নতুন এ স্কিম “মেয়াদী সুবিধাযুক্ত পেনশন বীমা” চালু করেছে।
যাদের জন্য উপযোগী:
বিভিন্ন পদে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ীগণ, প্রবাসীগণ অথবা অন্যান্য পেশাজীবি। যারা পরিবারের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত এবং মেয়াদোত্তরের পর পেনশন গ্রহণ করতে আগ্রহী তাদের জন্য এই পরিকল্পটি।
বৈশিস্ট্যাবলী:
২. তিন কিস্তি বীমা
আমাদের প্রত্যাশিত মেয়াদী বীমা আপনার ভবিষ্যতকে সম্ভাবনাময় করে তুলতে পারে। বীমাগ্রাহক মহলে আমাদের প্রত্যাশিত মেয়াদী বীমা ‘তিন কিস্তি বীমা পলিসি’ হিসেবেই সুপরিচিত। অর্থাৎ বীমাগ্রহীতা বেঁচে থাকলে বীমা মেয়াদকে তিনভাগে ভাগ করে প্রতিভাগ মেয়াদ শেষে বীমাকৃত অর্থের ২৫%, ২৫% এবং অবশিষ্ট ৫০% ও নির্ধারিত বোনাস প্রদান করা হয়।
এর মাধ্যমে বীমাগ্রাহক প্রধানত: ২টি সুবিধা পেয়ে থাকেন:
(১) বীমাকৃত অর্থ মেয়াদকালে তিন কিস্তিতে প্রাপ্তির ব্যবস্থা থাকায় এই বীমা ভবিষ্যতে আর্থিক প্রয়োজন একাধিকবার মেটাতে সক্ষম।
(২) প্রথম বা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা প্রদান করা সত্ত্বেও বীমার মেয়াদকালে মৃত্যু হলে বীমাকৃত সম্পূর্ণ অর্থ এবং নির্ধারিত সময়ে বোনাস প্রদান করা হয়। এটা এই বীমার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক।
বিশেষ সুবিধাদি:
(ক) প্রথম কিস্তির প্রাপ্ত (বীমার অংকের ২৫%) অর্থ অন্যত্র বিনিয়োগ করে যে লভ্যাংশ পাবেন তা নিয়েই বীমা পলিসির প্রিমিয়াম জমা দেয়া সম্ভব। উপরন্তু প্রাপ্ত প্রথম কিস্তির অর্থ মূলধন হিসেবে থেকে যাবে।
(খ) ২য় কিস্তির প্রাপ্ত (বীমা অংকের ২৫% ) সম্পূর্ণ অর্থ একইভাবে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারবেন।
(গ) ৩য় কিস্তি (শষ কিস্তি) হিসেবে বীমাগ্রহীতা পাবেন বীমা অংকের অবশিষ্ট ৫০% অর্থ নির্ধারিত সময়ের বোনাস।
(ঘ) বীমার মেয়াদ চলাকালীন জীবনের উপর মূল বীমার অর্থ-ঝুঁকি হিসেবে থাকবে এবং মেয়াদ শেষে অকল্পনীয় সঞ্চয় হবে যা আপনার জীবনে আর্থিক নিশ্চয়তা এনে দেবে।
এছাড়া দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ও অঙ্গহানীর অতিরিক্ত ঝুকিঁ (DIAB অথবা PDAB) গ্রহণ করা হলে নিন্মোক্ত সুবিধা দেয়া হয়:
(ক) বীমাগ্রাহক ১টি মাত্র প্রিমিয়াম দেয়ার পরও যদি দুর্ঘটনায় (৯০ দিনের মধ্যে/সাথে সাথে) মৃত্যুবরণ করেন তাহলে নমিনী পাবেন বীমাকৃত অর্থের দ্বিগুণ।
(খ) বীমার মেয়াদকালে দুর্ঘটনায় বীমাগ্রহকের ১টি পা/১টি হাত/ ১টি চোখ নষ্ট হলে তৎক্ষণাৎ বীমাকৃত অর্থের (৫০%) অর্ধ পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হবে। মূল বীমার অর্থ যথারীতি নির্দিষ্ট সময় অন্তে দেয়া হবে।
(গ) উভয় হাত/ উভয় পা / উভয় চোখ নষ্ট হলে অথবা ১ হাত এবং এক পা নষ্ট হলে তৎক্ষণাৎ বীমাকৃত অর্থের সমপরিমান অর্থ প্রদান করা হবে। ভবিষ্যতে দেয় অবশিষ্ট প্রিমিয়ামসমূহ মওকুফ হয়ে যাবে। বীমার নির্দিষ্ট সময় অন্তে মূল বীমার অর্থ দেয়া হবে।
(ঘ) দুর্ঘটনায় বীমাগ্রহকের সম্পূর্ণ অথবা স্থায়ী পঙ্গুত্ব হলে- পরবর্তী ১০(দশ) বছর যাবৎ বীমার এক দশমাংশ পরিমান অর্থ বার্ষিক বৃত্তি বা ভাতা হিসেবে প্রদান করা হবে। ভবিষ্যতে দেয় সকল প্রিমিয়াম মওকুফ করা হবে। মূল বীমার অর্থ নির্দিষ্ট সময় অন্তে দেয়া হবে।
প্রত্যাশিত মেয়াদী বা তিন কিস্তি বীমার জনপ্রিয়তা দ্রুত বেড়ে চলেছে। তার কারণ বীমাগ্রহাক জীবিতাবস্থায় ধাপে ধাপে বীমার টাকাটা লাভজনক খাতে কিংবা গঠনমূলক কাজে খাটাতে পারেন।
একটি পলিসি ক্রয়ের মাধ্যমে জীবন বীমার এই পরিকল্পনায় আপনিও আস্থা সহকারে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এই বীমা ১২, ১৫, ১৮, ২১, ২৪ অথবা ৩০ বছর মেয়াদের হয়ে থাকে।
মেয়াদকালীন বিভিন্ন সময় দেয় কিস্তির পরিমান নিম্নরূপ:
(ক) মেয়াদের এক তৃতীয়াংশ সময়কাল অতিবাহিত হওয়ার পরে বীমাকৃত অংকের ২৫ ভাগ।
(খ) মেয়াদের দুই- তৃতীয়াংশ সময়কাল অতিবাহিত হওয়ার পরে আবার শতকরা অংকের ২৫ ভাগ।
(গ) মেয়াদ শেষে বাকি ৫০ ভাগ।
তিন কিস্তি বীমার জনপ্রিয়তা
দ্রুত বেড়ে চলেছে--
কেন?
বীমাগ্রাহক জীবিতাবস্থায় বীমার টাকা লাভজনক খাতে খাতে খাটাতে পারেন।নির্দিষ্ট মেয়াদ পুর্তির আগে বা ১টি মাত্র প্রিমিয়াম প্রদানের পরেও বীমাগ্রহকের মৃত্যু হলে নমিনীকে বীমকৃত অংক প্রদেয়। একাধিকবার কিস্তির টাকা প্রদান করা সত্ত্বেও বীমার কালে বীমাগ্রাহকের মৃত্যু হলে বীমাকৃত সম্পূর্ণ টাকা প্রদেয়। দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ও অঙ্গহানীর অতিরিক্ত ঝুকিঁর (DIAB অথবা PDAB) গ্রহণের সুবিধা বিদ্যমান।
৩. বহু কিস্তি বীমা (লাভসহ)
জীবন বীমার বহু কিস্তি বীমা মেয়াদ পূর্তির পূর্বে বীমাগ্রাহকের একাধিক বার আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম। তাছাড়া বহুকিস্তি বীমা ক্রয়ের মাধ্যমে বীমাগ্রহক তার পোষ্যদেরও আর্থিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারেন।
দুই বছর পর পর কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য বহু কিস্তি মেয়াদী বীমা পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত বীমা ক্রয় করার মাধ্যমে বীমাগ্রহক নিম্নে উল্লেখিত সুবিধা পেয়ে থাকেন:
১। বীমাকৃত অর্থ মেয়াদকালে প্রথম চার বছর পর থেকে প্রতি দুই বছর পর পর প্রদান করার ব্যবস্থা থাকায় এই বীমা ভবিষ্যৎ আর্থিক প্রয়োজন একাধিকবার মেটাতে সক্ষম।
২। একাধিকবার কিস্তির টাকা প্রদান করা সত্ত্বেও বীমার মেয়াদকালে বীমাগ্রাহকের মৃত্যু হলে বীমাকৃত সম্পূর্ণ টাকা বোনাসসহ প্রদান করা হয়।
এই বীমা ১০ অথব ১৫ অথবা ২০ বছর মেয়াদের হয়ে থাকে। মেয়াদকালে বিভিন্ন সময়ে দেয় কিস্তির পরিমাণ নিম্নরূপ:
(ক) ১০ বছর মেয়াদে:-
৪ (চার) বছর অতিবাহিত হওয়ার পর প্রথম কিস্তি এবং তারপর থেকে প্রতি ২ বছর পর পর বীমা অংকের ২০% হারে বীমাগ্রহীতকে প্রদান করা হবে অর্থাৎ ৪ বছর অন্তে ২০%, ৬ বছর অন্তে ২০%, ৮ বছর অন্তে ২০% এবং মেয়াদ শেষে অবশিষ্ট ৪০% অর্জিত বোনাসসহ প্রদান করা হবে।
(খ) ১৫ বছর মেয়াদেঃ-
প্রথম ৪ (চার) বছর অতিবাহিত হওয়ার পর প্রথম কিস্তি এবং তারপর থেকে প্রতি ২ বছর পর পর বীমা অংকের ১৫% হারে বীমাগ্রহীতাকে প্রদান করা হবে অর্থাৎ ৪ বছর অন্তে ১৫%, ৬ বছর অন্তে ১৫%, ৮ বছর অন্তে ১৫%, ১০ বছর অন্তে ১৫%, ১২ বছর অন্তে ১৫% এবং মেয়াদ শেষে অবশিষ্ট ২৫% অর্জিত বোনাসসহ প্রদান করা হবে।
(গ) ২০ বছর মেয়াদেঃ-
প্রথম ৪ (চার) বছর অতিবাহিত হওয়ার পর প্রথম কিস্তি এবং তারপর থেকে প্রতি ২ বছর পর পর বীমা অংকের ১০% হারে বীমাগ্রহীতাকে প্রদান করা হবে অর্থাৎ ৪ বছর অন্তে ১০%, ৬ বছর অন্তে ১০%, ৫ বছর অন্তে ১০%, ১০ বছর অন্তে ১০%, ১২ বছর অন্তে ১০%, ১৪ বছর অন্তে ১০%, ১৬ বছর অন্তে ১০%. ১৮ বছর অন্তে ১০% এবং মেয়াদ শেষে অবশিষ্ট ২০% অর্জিত বোনাসসহ প্রদান করা হবে।
এই বীমার সাথে পারিবারিক নিরাপত্তা বীমা/পারিবারিক পেনশন বীমা গ্রহণ করা যায় না । এই পরিকল্পনায় বীমার অংশ ৬০,০০০/- টাকার কম করা যাবে না । বার্ষিক অথবা ষান্মাসিক কিস্তিতে প্রিমিয়াম প্রদান করা যাবে।
৪. জেবিসি মাসিক সঞ্চয়ী স্কীম (লাভসহ) টেবিল নং-৬১”
এই বীমা পরিকল্পনাটি স্বল্প আয়ের মানুষ-কৃষক, শ্রমিক, সমবায়ী, পশুপালক, কামার-কুমার,গার্মেন্টস শ্রমিক, রিক্সাওয়ালা সহ সকল শ্রেণীর বীমাগ্রাহক বিশেষ করে দেশের মহিলাদের-কে জীবন বীমার সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য জীবন বীমা কর্পোরেশন ‘‘জেবিসি মাসিক সঞ্চয়ী স্কীম (লাভসহ) টেবিল নং-৬১” প্রবর্তন করেছে। এই স্কীম চালুর ফলে দেশের আপামর জনগণ মাসিক কিস্তেিত স্বল্প প্রিমিয়াম প্রদানের মাধ্যমে বীমার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে অপরদিকে তাদের অকাল মৃত্যুতে তাদের পরিবার আর্থিক নিরাপত্তা পাবে। সাথে সাথে মেয়াদপূর্তীতে লাভসহ টাকা পেয়ে ভবিষ্যতে আর্থিক চাহিদা মিটাতে পারবে।
এই বীমার বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ-
৫. জেবিসি প্রত্যাশিত মাসিক সঞ্চয়ী স্কিম (লাভ সহ)টেবিল নং-৬২”
এই বীমা পরিকল্পনাটি স্বল্প আয়ের মানুষ কৃষক, শ্রমিক সমাবায়ী, কামার-কুমার, পশুপালক গার্মেন্টস শ্রমিক রিক্সাওয়ালাসহ সকল শ্রেণীর বীমা গ্রাহক বিশেষ করে দেশের মহিলাদেরকে জীবন বীমার সুবিধা পৌঁছে দেয়ার জন্য জীবন বীমা কর্পোরেশন “প্রত্যাশিত মাসিক সঞ্চয়ী স্কিম (লাভ সহ) টেবিল নং-৬২” প্রবর্তন করেছে। এই স্কিমের অন্যতম সুবিধা হল বীমার মেয়াদ অর্ধেক পার হবার পর বীমা অংকের ৩০% কিস্তিতে প্রদান করা হবে, ফলে ভবিষ্যতে আর্থিক প্রয়োজন মেয়াদপূর্তির পূর্বে মেটাতে সক্ষম হবে। এই স্কিম চালুর ফলে দেশের আপামর জনগণ মাসিক কিস্তিতে স্বল্প প্রিমিয়াম প্রদানের মাধ্যমে বীমার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। অপরদিকে তাদের অকাল মৃত্যুতে তাদের পরিবার আর্থিক নিরাপত্তা পাবে। সাথে সাথে মেয়াদপূর্তিতে লাভ টাকা পেয়ে ভবিষ্যতে আর্থিক চাহিদা মেটাতে পারবে।
নতুন স্কিম এর বৈশিষ্ট্য নিরূপণঃ
০১। মেয়াদ সর্বনিম্ন ১২ বছর হতে সর্বোচ্চ ১৬ বছর পর্যন্ত।
০২। মাসিক কিস্তিতে প্রিমিয়াম প্রদান করতে পারবে।
০৩। সর্বনিম্ন মাসিক জমা ১০০/- টাকা সর্বোচ্চ পরিমাণ টাকা ১৫০০/- টাকা, সর্বোচ্চ এক বছরের (১২ মাসের) টাকা প্রিমিয়াম অগ্রিম প্রদান করতে পারবে।
০৪। সর্বোচ্চ প্রবেশকালীণ বয়স ১২ বছর মেয়াদের ক্ষেত্রে ৪৮ বছর এবং ১৬ বছর মেয়াদের ক্ষেত্রে ৪৪ বছর। মেয়াদ পূর্ণকালীণ বয়স ৬০ বছরের বেশি হবে না।
০৫। এই বীমার জন্য শুধুমাত্র একটি নির্ধারিত ফরম পূরণ করতে হবে। প্রস্তাবপত্রের সাথে বয়সের প্রমাণক অবশ্যই দাখিল করতে হবে।
০৬। কোন ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট প্রদান করতে হবে না
০৭। ১২ বছর মেয়াদের ক্ষেত্রে প্রথম ৬ বছর নিয়মিত পরিশোধ করার পর বীমা অংকের ৩০% প্রদান করা হবে। ১৬ বছর মেয়াদের ক্ষেত্রে প্রথম ৮ বছর পরিশোধ করার পর বীমা অংকের ৩০% প্রদান করা হবে।
০৮। নিয়মিত প্রিমিয়াম পরিশোধ করলে মেযাদ পূর্তীতে অবশিষ্ট বীমা অংক অর্জিত লাভসহ প্রদান করা হবে।
০৯। প্রথম কিস্তির টাকা প্রদান করা সত্ত্বেও পলিসি চালু থাকা অবস্থায় মেয়াদের মধ্যে বীমা গ্রাহকের অকাল মৃত্যু হলে পুরো বীমা অংক অর্জিত লাভসহ প্রদান করা হবে।
১০। প্রদত্ত প্রিমিয়াম এর উপর আয়কর রেয়াত পাওয়া যায়। বীমা দাবির টাকা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত আয়করমুক্ত।
১১। এই বীমায় দুই বছর প্রিমিয়াম প্রদানের পর সমর্পণ ও ঋণ গ্রহণ করা যাবে।
মাসিক কিস্তি ও বীমা অংকের পরিমাণ নিম্নে দেওয়া হল
মাসিক প্রিমিয়াম |
মেয়াদ |
বীমা অংক |
১০০ |
১২ |
১২,৫০০ |
১০০ |
১৬ |
১৭,৫০০ |
৭. সামাজিক নিরাপত্তা বীমা (লাভসহ),টেবিল নং-৬৩
(একই সাথে জীবনের নিরাপত্তা এবং আজীবন পেনশন)
ব্যক্তিগত পেনশন বীমা পলিসিঃ
পেশাজীবী ও কর্মজীবী মানুষ স্বভাবতঃই অবসর জীবনে নিরুদ্বেগ স্বচ্ছল শান্তিময় দিন যাপনের নিশ্চয়তা চান। পরিণত বয়সে যখন নিয়মিত আয়ের কোন নিশ্চয়তা থাকে না, পেনশন বীমা পলিসি ঠিক তখনই নিয়মিত মাসিক অর্থাগমের ব্যবস্থা করে। অবসর জীবনের আর্থিক প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রেখেই তৈরী করা হয়েছে আমাদের পেনশন বীমা পরিকল্পনা। যে কোন পেশায় নিয়োজিত মানুষ এই পলিসি নিতে পারেন। এর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো কর্মজীবনে অকাল মৃত্যুতে পরিবারের জন্য আর্থিক নিরাপত্তা বিধান যা অন্য কোন সঞ্চয় মাধ্যমে সম্ভব নয়।
পেনশন বীমার আকর্ষণ/সুবিধাদিঃ
(ক) প্রথম বছরের প্রিমিয়াম বাদে প্রদত্ত সকল প্রিমিয়াম ৭% লাভসহ প্রদান:
অথবা
(খ) একটি বার্ষিক প্রিমিয়ামের ১৫ (পনের) গুণ অর্থ প্রদান।
(গ) অর্নদিকে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বীমার ক্ষেত্রে (DIAB) সহ পলিসির ক্ষেত্রে) দুর্ঘটনার সাথে সাথে অথবা দুর্ঘটনার কারণে ৯০ দিনের মধ্যে বীমাগ্রহীতার মৃত্যু হলে সেক্ষেত্রে বার্ষিক প্রিমিয়ামের ৩০ গুণ অর্থ নমিনীক প্রদান করা হয়।
(ঘ) মেয়াদ পূর্তিতে পেনশনের টাকার ৫০% অথবা ১০০% সমর্পণ (কম্যুটেশন) করে এককালীন টাকা পাওয়ার সুবিধা।
(ঙ) বীমাপত্রের অনুকূলে বীমাগ্রাহক প্রয়োজনে ঋণ গ্রহণ করতে পারেন।
(চ) জীবন বীমার অন্যান্য পলিসির মতো পেনশন বীমার টাকা আয়করমুক্ত। প্রদত্ত প্রিমিয়ামের উপরেও আয়কর রেয়াত পাওয়া যায়।
উদাহরণ
যদি ৩৫ বছর বয়স্ক কোন ভদ্রলোক তাঁর ৫৭ বছর বয়স পূর্তির পর থেকে মাসিক ৫,০০০/- টাকা পেনশনের জন্য একটি পেনশন বীমা পলিসি গ্রহণ করেন। তাঁর প্রিমিয়াম এবং সুবিধাবলী হবে নিম্নরূপঃ
মাসিক ১০০/- টাকার জন্য এক বছরের প্রিমিয়াম ১৮৪.২০ টাকা
মাসিক ৫,০০০/- টাকার জন্য এক বছরের প্রিমিয়াম ১৮৪.২০ x ৫০
=৯,২১০.০০ টাকা
অর্থাৎ বার্ষিক প্রিমিয়াম দিবেন ৯,২১০/= টাকা। এর পরিবর্তে মেয়াদপূর্তিতে (মাসিক ৫,০০০/= টাকা হিসাবে) তিনি বার্ষিক পেনশন পাবেন (৫,০০০ x ১২) = ৬০,০০০/= (ষাট হাজার) টাকা।
৫৭ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি জমা দেবেন,
(৯,২১০ x২২) = ২,০২,৬২০.০০ টাকা। বার্ষিক ৯,২১০/- টাকা প্রিমিয়াম দিলে তিনি যে আয়কর রেয়াত লাভ করবেন তা হিসাবের মধ্যে ধরলে প্রিমিয়াম খাতে প্রকৃত ব্যয় আরো কম হবে।
প্রিমিয়ামঃ কেবলমাত্র বার্ষিক বা ষান্মাষিক কিস্তিতে প্রদানযোগ্য।
সুবিধাদি
১। |
‘’৫৭ বৎসর পূর্তির পর থেকে বীমাগ্রহীতা যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন পর্যন্ত ৫,০০০/= (পাঁচ হাজার টাকা) করে প্রতি মাসে নিয়মিত পেনশন পাবেন। এই অর্থ প্রতি মাসে তাঁর ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছে যাবে’’। গ্যারান্টিকৃত দশ বছরে তিনি পাচ্ছেনঃ |
২। |
প্রতিমাসে ৫,০০০/= টাকা হিসাবে (৫,০০০ x ১২x ১০) = ৬,০০,০০০/= টাকা। এর পরেও তিনি যতদিন জীবিত থাকবেন নির্ধারিত পেনশন পেতেই থাকবেন। |
৩। |
পেনশন শুরু হওয়ার সময় তিনি ইচ্ছা করলে মাসিক পেনশনের অর্ধেক অথবা সম্পূর্ণ সমর্পণ করে এককালীন টাকা নিতে পারবেন। যদি তিনি মাসিক পেনশনের ৫০% (অর্ধেক) সমর্পণ করেন সেক্ষেত্রে তিনি এককালীন ২,৫৩,৪৫০/= টাকা পাবেন। উক্ত এককালীন টাকা ছাড়াও যথারীতি মাসিক পেনশন হিসাবে আজীবন প্রতিমাসে ২,৫০০/= টাকা পাবেন। |
জীবন বীমা কর্পোরেশনের ব্যক্তিগত পেনশন বীমা পলিসি জীবনের ঝুঁকি গ্রহণের সংগে অবসর জীবনের জন্যে আজীব পেনশনের নিশ্চয়তা দেয়।
এতে রয়েছে ন্যূনতম দশ বছরের গ্যারান্টিসহ আজীবন পেনশনের ব্যবস্থা। চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী বা অন্য যে কোনো স্বাধীন পেশাজীবী সকলেই এই পলিসি নিতে পারেন।
স্বচ্ছল অবসর জীবনের জন্যে পেনশনের সুবিধা কে না চায়?
কিন্তু সব প্রতিষ্ঠানই তো পেনশনের
সুবিধা দিতে পারছে না।
তাহলে?-------------
অবশ্যই জীবন বীমা কর্পোরেশনের পেনশন বীমা পলিসি গ্রহণ করে অবসর জীবনের আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করুণ।
নিচে উল্লেখিত জন্মবার্ষিকী থেকে শুরু করে ১০ (দশ) বছরের গ্যারান্টিসহ আজীবন প্রতি মাসে অগ্রিম প্রদেয় ১০০ (একশত) টাকা পেনশনের জন্য বার্ষিক প্রিমিয়ামের হার এখানে দেয়া হলো। পেনশন আরম্ভ হওয়ার পূর্বে বীমাগ্রাহকের স্বাভাবিক মৃত্যু হলে ৭% লাভে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম বাদে সকল প্রদত্ত প্রিমিয়াম লাভসহ প্রদান অথবা স্বাভাবিক মৃত্যুতে নূন্যপক্ষে একটি বার্ষিক প্রিমিয়ামের ১৫ (পনের) গুণ অর্থ অথবা দুর্ঘটনাজড়িত মৃত্যুতে (DIAB সহ পলিসির ক্ষেত্রে) ১টি বার্ষিক প্রিমিয়াম এর ৩০ গুণ অর্থ নমিনীকে পরিশোধযোগ্য।
১০. শিশু নিরাপত্তা বীমা (লাভসহ) প্ল্যান-০৯