Wellcome to National Portal
জীবন বীমা কর্পোরেশন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd অক্টোবর ২০২৪

Products

 

জীবন বীমা কর্পোরেশনের জনপ্রিয় পলিসিসমূহের বিবরণ

 

 

১. মেয়াদী সুবিধাযুক্ত পেনশন বীমা পলিসি (তালিকা নং-৬০)

ভূমিকা:

বাংলাদেশের  জনসংখ্যার প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশে দ্রুত গতিতে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বয়স্ক লোকের অবসর জীবন নিরুদ্বেগ,স্বচ্ছল ও শান্তিময় করার জন্য  জীবন বীমা কর্পোরেশন নতুন এ স্কিম “মেয়াদী সুবিধাযুক্ত পেনশন বীমা”  চালু করেছে।

 

যাদের জন্য উপযোগী:

বিভিন্ন পদে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ীগণ, প্রবাসীগণ অথবা অন্যান্য পেশাজীবি। যারা পরিবারের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত এবং মেয়াদোত্তরের পর পেনশন গ্রহণ করতে আগ্রহী তাদের জন্য এই পরিকল্পটি।

 

বৈশিস্ট্যাবলী:

  • প্রবেশকালীন বয়স: সর্বনিম্ন ২০ বছর ও র্সবোচ্চ  ৬০ বছর।
  • প্রিমিয়াম পরিশোধ পদ্ধতি: ষান্মাসিক ও বার্ষিক।
  • বীমার মেয়াদ: সর্বনিম্ন ৫ (পাঁচ) বছর এবং সর্বোচ্চ ৪৫ বছর।
  • বীমা অংক: সর্বনিম্ন ৫০,০০০.০০ (পঞ্চাশ হাজার টাকা) এবং সর্বোচ্চ বীমা অংক  বীমাগ্রাহকের সামর্থ্য অনুযায়ী।
  • বীমাগ্রাহক ইচ্ছানুযায়ী ১০, ১৫ অথবা ২০ বছর মেয়াদ পর্যন্ত গ্যারান্টিযুক্ত পেনশন নিতে পারেন।
  • পেনশন প্রদান শুরুর নির্ধারিত তারিখের পূর্বে বীমাগ্রাহকের মৃত্যু হলে  নমিনি পূর্ণ বীমা অংক অর্জিত বোনাসসহ প্রাপ্ত হবেন।
  • পেনশন  প্রদান শুরুর পর বীমাগ্রাহকের মৃত্যু হলে নমিনি অবশিষ্ট মেয়াদের  জন্য পেনশন প্রাপ্ত হবেন। 
  • পেনশন প্রাপ্তি শুরুর বয়স ৫৫ থেকে ৬৫ বছর।
  • বীমার মেয়াদে শর্তানুযায়ী বীমাগ্রাহক পরিশোধিত মূল্য, সমর্পণ ও ঋণ গ্রহণ করার সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
  • প্রদত্ত প্রিমিয়ামের উপর আয়কর রেয়াত পাওয়া যাবে।
  • বীমা অংক এবং দেয় পদ্ধতির উপর এ বীমায় কোন রিবেট প্রযোজ্য নয়।
  • এই বীমায় অপশন “সি” প্রযোজ্য হবে।
  • এই বীমার সঙ্গে অতিরিক্ত সুবিধার বীমা (Supplementary  benefit)  গ্রহণ করা যাবে।
  • মরণোত্তর দাবীর টাকা সম্পূর্ণ আয়করমুক্ত।

 

২. তিন কিস্তি বীমা

আমাদের প্রত্যাশিত মেয়াদী বীমা আপনার ভবিষ্যতকে সম্ভাবনাময় করে তুলতে পারে। বীমাগ্রাহক মহলে আমাদের প্রত্যাশিত মেয়াদী বীমা ‘তিন কিস্তি বীমা পলিসি’ হিসেবেই সুপরিচিত। অর্থাৎ বীমাগ্রহীতা বেঁচে থাকলে বীমা মেয়াদকে তিনভাগে ভাগ করে প্রতিভাগ মেয়াদ শেষে বীমাকৃত অর্থের ২৫%, ২৫% এবং অবশিষ্ট ৫০% ও নির্ধারিত বোনাস প্রদান করা হয়।

এর মাধ্যমে বীমাগ্রাহক প্রধানত: ২টি সুবিধা পেয়ে থাকেন:

(১) বীমাকৃত অর্থ মেয়াদকালে তিন কিস্তিতে প্রাপ্তির ব্যবস্থা থাকায় এই বীমা ভবিষ্যতে আর্থিক প্রয়োজন একাধিকবার মেটাতে সক্ষম।

(২) প্রথম বা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা প্রদান করা সত্ত্বেও বীমার মেয়াদকালে মৃত্যু হলে বীমাকৃত সম্পূর্ণ অর্থ এবং নির্ধারিত সময়ে বোনাস প্রদান করা হয়। এটা এই বীমার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক।

 

বিশেষ সুবিধাদি:

(ক) প্রথম কিস্তির প্রাপ্ত (বীমার অংকের ২৫%) অর্থ অন্যত্র বিনিয়োগ করে যে লভ্যাংশ পাবেন তা নিয়েই বীমা পলিসির প্রিমিয়াম জমা দেয়া সম্ভব। উপরন্তু প্রাপ্ত প্রথম কিস্তির অর্থ মূলধন হিসেবে থেকে যাবে।

(খ) ২য় কিস্তির প্রাপ্ত (বীমা অংকের ২৫% ) সম্পূর্ণ অর্থ একইভাবে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারবেন।

(গ) ৩য় কিস্তি (শষ কিস্তি) হিসেবে বীমাগ্রহীতা পাবেন বীমা অংকের অবশিষ্ট ৫০% অর্থ নির্ধারিত সময়ের বোনাস।

(ঘ) বীমার মেয়াদ চলাকালীন জীবনের উপর মূল বীমার অর্থ-ঝুঁকি হিসেবে থাকবে এবং মেয়াদ শেষে অকল্পনীয় সঞ্চয় হবে যা আপনার জীবনে আর্থিক নিশ্চয়তা এনে দেবে।

 

এছাড়া দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ও অঙ্গহানীর অতিরিক্ত ঝুকিঁ (DIAB অথবা PDAB) গ্রহণ করা হলে নিন্মোক্ত সুবিধা দেয়া হয়:

(ক) বীমাগ্রাহক ১টি মাত্র প্রিমিয়াম দেয়ার পরও যদি দুর্ঘটনায় (৯০ দিনের মধ্যে/সাথে সাথে) মৃত্যুবরণ করেন তাহলে নমিনী পাবেন বীমাকৃত অর্থের দ্বিগুণ।

(খ) বীমার মেয়াদকালে দুর্ঘটনায় বীমাগ্রহকের ১টি পা/১টি হাত/ ১টি চোখ নষ্ট হলে তৎক্ষণাৎ বীমাকৃত অর্থের (৫০%) অর্ধ পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হবে। মূল বীমার অর্থ যথারীতি নির্দিষ্ট সময় অন্তে দেয়া হবে।

(গ) উভয় হাত/ উভয় পা / উভয় চোখ নষ্ট হলে অথবা ১ হাত এবং এক পা নষ্ট হলে তৎক্ষণাৎ বীমাকৃত অর্থের সমপরিমান অর্থ প্রদান করা হবে। ভবিষ্যতে দেয় অবশিষ্ট প্রিমিয়ামসমূহ মওকুফ হয়ে যাবে। বীমার নির্দিষ্ট সময় অন্তে মূল বীমার অর্থ দেয়া হবে।

(ঘ) দুর্ঘটনায় বীমাগ্রহকের সম্পূর্ণ অথবা স্থায়ী পঙ্গুত্ব হলে- পরবর্তী ১০(দশ) বছর যাবৎ বীমার এক দশমাংশ পরিমান অর্থ বার্ষিক বৃত্তি বা ভাতা হিসেবে প্রদান করা হবে। ভবিষ্যতে দেয় সকল প্রিমিয়াম মওকুফ করা হবে। মূল বীমার অর্থ নির্দিষ্ট সময় অন্তে দেয়া হবে।

প্রত্যাশিত মেয়াদী বা তিন কিস্তি বীমার জনপ্রিয়তা দ্রুত বেড়ে চলেছে। তার কারণ বীমাগ্রহাক জীবিতাবস্থায় ধাপে ধাপে বীমার টাকাটা লাভজনক খাতে কিংবা গঠনমূলক কাজে খাটাতে পারেন।

একটি পলিসি ক্রয়ের মাধ্যমে জীবন বীমার এই পরিকল্পনায় আপনিও আস্থা সহকারে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এই বীমা ১২, ১৫, ১৮, ২১, ২৪ অথবা ৩০ বছর মেয়াদের হয়ে থাকে।

 

মেয়াদকালীন বিভিন্ন সময় দেয় কিস্তির পরিমান নিম্নরূপ:

(ক) মেয়াদের এক তৃতীয়াংশ সময়কাল অতিবাহিত হওয়ার পরে বীমাকৃত অংকের ২৫ ভাগ।

(খ) মেয়াদের দুই- তৃতীয়াংশ সময়কাল অতিবাহিত হওয়ার পরে  আবার শতকরা অংকের ২৫ ভাগ।

(গ) মেয়াদ শেষে বাকি ৫০ ভাগ।

 

তিন কিস্তি বীমার জনপ্রিয়তা

দ্রুত বেড়ে চলেছে--

কেন?

 

বীমাগ্রাহক জীবিতাবস্থায় বীমার টাকা লাভজনক খাতে  খাতে খাটাতে পারেন।নির্দিষ্ট মেয়াদ পুর্তির আগে বা ১টি মাত্র প্রিমিয়াম প্রদানের পরেও বীমাগ্রহকের মৃত্যু হলে নমিনীকে বীমকৃত অংক প্রদেয়। একাধিকবার কিস্তির টাকা প্রদান করা সত্ত্বেও বীমার কালে বীমাগ্রাহকের মৃত্যু হলে বীমাকৃত সম্পূর্ণ টাকা প্রদেয়। দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ও অঙ্গহানীর অতিরিক্ত ঝুকিঁর (DIAB অথবা PDAB) গ্রহণের সুবিধা বিদ্যমান।

 

৩. বহু কিস্তি বীমা (লাভসহ)

 

জীবন বীমার বহু কিস্তি বীমা মেয়াদ পূর্তির পূর্বে বীমাগ্রাহকের একাধিক বার আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম। তাছাড়া বহুকিস্তি বীমা ক্রয়ের মাধ্যমে বীমাগ্রহক তার পোষ্যদেরও আর্থিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারেন।

দুই বছর পর পর কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য বহু কিস্তি মেয়াদী বীমা পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত বীমা ক্রয় করার মাধ্যমে বীমাগ্রহক নিম্নে উল্লেখিত সুবিধা পেয়ে থাকেন:

১। বীমাকৃত অর্থ মেয়াদকালে প্রথম চার বছর পর থেকে প্রতি দুই বছর পর পর প্রদান করার ব্যবস্থা থাকায় এই বীমা ভবিষ্যৎ আর্থিক প্রয়োজন একাধিকবার মেটাতে সক্ষম।

২। একাধিকবার কিস্তির টাকা প্রদান করা সত্ত্বেও বীমার মেয়াদকালে বীমাগ্রাহকের মৃত্যু হলে বীমাকৃত সম্পূর্ণ টাকা বোনাসসহ প্রদান করা হয়।

 

এই বীমা ১০ অথব ১৫ অথবা ২০ বছর মেয়াদের হয়ে থাকে। মেয়াদকালে বিভিন্ন সময়ে দেয় কিস্তির পরিমাণ নিম্নরূপ:

(ক)  ১০ বছর মেয়াদে:-

৪ (চার) বছর অতিবাহিত হওয়ার পর প্রথম কিস্তি এবং তারপর থেকে প্রতি ২ বছর পর পর বীমা অংকের ২০% হারে বীমাগ্রহীতকে প্রদান করা হবে অর্থাৎ ৪ বছর অন্তে ২০%, ৬ বছর অন্তে ২০%, ৮ বছর অন্তে ২০% এবং মেয়াদ শেষে অবশিষ্ট ৪০% অর্জিত বোনাসসহ প্রদান করা হবে।

 

(খ) ১৫ বছর মেয়াদেঃ-

প্রথম ৪ (চার) বছর অতিবাহিত হওয়ার পর প্রথম কিস্তি এবং তারপর থেকে প্রতি ২ বছর পর পর বীমা অংকের ১৫% হারে বীমাগ্রহীতাকে প্রদান করা হবে অর্থাৎ ৪ বছর অন্তে ১৫%, ৬ বছর অন্তে ১৫%, ৮ বছর অন্তে ১৫%, ১০ বছর অন্তে ১৫%, ১২ বছর অন্তে ১৫% এবং মেয়াদ শেষে অবশিষ্ট ২৫% অর্জিত বোনাসসহ প্রদান করা হবে।

 

(গ) ২০ বছর মেয়াদেঃ-

প্রথম ৪ (চার) বছর অতিবাহিত হওয়ার পর প্রথম কিস্তি এবং তারপর থেকে প্রতি ২ বছর পর পর বীমা অংকের ১০% হারে বীমাগ্রহীতাকে প্রদান করা হবে অর্থাৎ ৪ বছর অন্তে ১০%, ৬ বছর অন্তে ১০%, ৫ বছর অন্তে ১০%, ১০ বছর অন্তে ১০%, ১২ বছর অন্তে ১০%, ১৪ বছর অন্তে ১০%, ১৬ বছর অন্তে ১০%. ১৮ বছর অন্তে ১০% এবং মেয়াদ শেষে অবশিষ্ট ২০% অর্জিত বোনাসসহ প্রদান করা হবে।

 

এই বীমার সাথে পারিবারিক নিরাপত্তা বীমা/পারিবারিক পেনশন বীমা গ্রহণ করা যায় না । এই পরিকল্পনায় বীমার অংশ ৬০,০০০/- টাকার কম করা যাবে না । বার্ষিক অথবা ষান্মাসিক কিস্তিতে প্রিমিয়াম প্রদান করা যাবে।

 

 

৪. জেবিসি মাসিক সঞ্চয়ী স্কীম (লাভসহ) টেবিল নং-৬১”

এই বীমা পরিকল্পনাটি স্বল্প আয়ের মানুষ-কৃষক, শ্রমিক, সমবায়ী, পশুপালক, কামার-কুমার,গার্মেন্টস শ্রমিক, রিক্সাওয়ালা সহ সকল শ্রেণীর বীমাগ্রাহক বিশেষ করে দেশের মহিলাদের-কে জীবন বীমার সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য জীবন বীমা কর্পোরেশন ‘‘জেবিসি মাসিক সঞ্চয়ী স্কীম (লাভসহ) টেবিল নং-৬১” প্রবর্তন করেছে। এই স্কীম চালুর ফলে দেশের আপামর জনগণ মাসিক কিস্তেিত  স্বল্প প্রিমিয়াম প্রদানের মাধ্যমে বীমার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে অপরদিকে তাদের অকাল মৃত্যুতে তাদের পরিবার আর্থিক নিরাপত্তা পাবে। সাথে সাথে মেয়াদপূর্তীতে লাভসহ টাকা পেয়ে ভবিষ্যতে আর্থিক চাহিদা মিটাতে পারবে।

এই বীমার বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ-

  • মেয়াদ সর্বনিম্ন ১২ বছর হতে সর্বোচ্চ ১৬ বছর পর্যন্ত।  
  • মাসিক কিস্তিতে প্রিমিয়াম প্রদান করতে পারবে।
  • সর্বনিম্ন মাসিক জমা ১০০/= টাকা, সর্বোচ্চ মাসিক জমার পরিমাণ টাকা ১৫০০/= (এক  হাজার পাঁচশত টাকা)। সর্বোচ্চ এক বছরের (১২ মাসের টাকা) প্রিমিয়াম অগ্রিম প্রদান করতে পারবে।
  • সর্বনিম্ন প্রবেশকালীণ বয়স ১৮ বছর, সর্বোচ্চ প্রবেশকালীণ বয়স ৪৮ বছর। মেয়াদপূর্তীকালীণ বয়স  ৬০ বছরের বেশী হবে না। নতুন এই স্কীমের জন্য শুধু মাত্র একটি নির্ধারিত ফরম পূরণ করতে হবে। 
  • প্রস্তাবপত্রের সাথে বয়সের  প্রমানক অবশ্যই দাখিল করতে হবে।
  • কোন ডাক্তারী পরীক্ষার রির্পোট এই বীমায় প্রদান করতে হবে না ।
  • মেয়াদ শেষে বীমাকৃত অর্থ (লাভসহ) প্রদান । বীমাগ্রাহকের অকাল মৃত্যু হলে বীমাকৃত অর্থ অর্জিত লাভসহ মনোনীতক-কে প্রদান করা হবে।
  • প্রদত্ত প্রিমিয়ামের উপর আয়কর রেয়াত পাওয়া যায়।
  • এই বীমায় ২ (দুই) বছর প্রিমিয়াম প্রদানের পর সমর্পণ ও ঋণ গ্রহণ করা যাবে।   

মাসিক কিস্তি ও বীমা অংকের পরিমাণ নিম্নে দেওয়া হ’লঃ-

মাসিক প্রিমিয়াম

মেয়াদ

বীমা অংক

১০০

১২

১৩৫০০

১০০

১৩

১৫০০০

১০০

১৪

১৬০০০

১০০

১৫

১৭৬০০

১০০

১৬

১৮৫০০

 

 

৫. জেবিসি প্রত্যাশিত মাসিক সঞ্চয়ী স্কিম (লাভ সহ)টেবিল নং-৬২”

এই বীমা পরিকল্পনাটি স্বল্প আয়ের মানুষ কৃষক, শ্রমিক সমাবায়ী, কামার-কুমার, পশুপালক গার্মেন্টস শ্রমিক রিক্সাওয়ালাসহ সকল শ্রেণীর বীমা গ্রাহক বিশেষ করে দেশের মহিলাদেরকে জীবন বীমার সুবিধা পৌঁছে দেয়ার জন্য জীবন বীমা কর্পোরেশন “প্রত্যাশিত মাসিক সঞ্চয়ী স্কিম (লাভ সহ) টেবিল নং-৬২” প্রবর্তন করেছে। এই স্কিমের অন্যতম সুবিধা হল বীমার মেয়াদ অর্ধেক পার হবার পর বীমা অংকের ৩০% কিস্তিতে প্রদান করা হবে, ফলে ভবিষ্যতে আর্থিক প্রয়োজন মেয়াদপূর্তির পূর্বে মেটাতে সক্ষম হবে। এই স্কিম চালুর ফলে দেশের আপামর জনগণ মাসিক কিস্তিতে স্বল্প প্রিমিয়াম প্রদানের মাধ্যমে বীমার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। অপরদিকে তাদের অকাল মৃত্যুতে তাদের পরিবার আর্থিক নিরাপত্তা পাবে। সাথে সাথে মেয়াদপূর্তিতে লাভ টাকা পেয়ে ভবিষ্যতে আর্থিক চাহিদা মেটাতে পারবে।

 

নতুন স্কিম এর বৈশিষ্ট্য নিরূপণঃ

০১। মেয়াদ সর্বনিম্ন ১২ বছর হতে সর্বোচ্চ ১৬ বছর পর্যন্ত।

০২। মাসিক কিস্তিতে প্রিমিয়াম প্রদান করতে পারবে।

০৩। সর্বনিম্ন মাসিক জমা ১০০/- টাকা সর্বোচ্চ পরিমাণ টাকা ১৫০০/- টাকা, সর্বোচ্চ এক বছরের (১২ মাসের) টাকা প্রিমিয়াম অগ্রিম প্রদান করতে পারবে।

০৪।  সর্বোচ্চ প্রবেশকালীণ বয়স ১২ বছর মেয়াদের ক্ষেত্রে ৪৮ বছর এবং ১৬ বছর মেয়াদের ক্ষেত্রে ৪৪ বছর। মেয়াদ পূর্ণকালীণ বয়স ৬০ বছরের বেশি হবে না।

০৫। এই বীমার জন্য শুধুমাত্র একটি নির্ধারিত ফরম পূরণ করতে হবে। প্রস্তাবপত্রের সাথে বয়সের প্রমাণক অবশ্যই দাখিল করতে হবে।

০৬। কোন ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট প্রদান করতে হবে না

০৭। ১২ বছর মেয়াদের ক্ষেত্রে প্রথম ৬ বছর নিয়মিত পরিশোধ করার পর বীমা অংকের ৩০% প্রদান করা হবে। ১৬ বছর মেয়াদের ক্ষেত্রে প্রথম ৮ বছর পরিশোধ করার পর বীমা অংকের ৩০% প্রদান করা হবে।

০৮। নিয়মিত প্রিমিয়াম পরিশোধ করলে মেযাদ পূর্তীতে অবশিষ্ট বীমা অংক অর্জিত লাভসহ প্রদান করা হবে।

০৯। প্রথম কিস্তির টাকা প্রদান করা সত্ত্বেও পলিসি চালু থাকা অবস্থায় মেয়াদের মধ্যে বীমা গ্রাহকের অকাল মৃত্যু হলে পুরো বীমা অংক অর্জিত লাভসহ প্রদান করা হবে।

১০। প্রদত্ত প্রিমিয়াম এর উপর আয়কর রেয়াত পাওয়া যায়। বীমা দাবির টাকা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত আয়করমুক্ত।

১১। এই বীমায় দুই বছর প্রিমিয়াম প্রদানের পর সমর্পণ ও ঋণ গ্রহণ করা যাবে।

 

মাসিক কিস্তি ও বীমা অংকের পরিমাণ নিম্নে দেওয়া হল

মাসিক প্রিমিয়াম

মেয়াদ

বীমা অংক

১০০

১২

১২,৫০০

১০০

১৬

১৭,৫০০

 

৭. সামাজিক নিরাপত্তা বীমা (লাভসহ),টেবিল নং-৬৩ 

এই বীমা পরিকল্পনাটি স্বল্প আয়ের মানুষ-কৃষক, শ্রমিক, সমবায়ী, পশুপালক, কামার-কুমার,গার্মেন্টস শ্রমিক, রিক্সাওয়ালা সহ সকল শ্রেণীর বীমাগ্রাহক বিশেষ করে দেশের মহিলাদের-কে জীবন বীমার সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য জীবন বীমা কর্পোরেশন ‘‘ সামাজিক নিরাপত্তা বীমা (লাভসহ),টেবিল নং-৬৩” Social Security Scheme (With Profit) চালু করেছে। এই স্কীম চালুর মাধ্যমে জীবন বীমা কর্পোরেশন দেশের জনগণের প্রতি সামাজিক দায়িত্ব হিসাবে নিম্নবৃত্ত হতে মধ্যবিত্ত সবাই যেন বীমা সুবিধা পেতে পারে, ভবিষ্যতের জন্য আকর্ষনীয় সঞ্চয় করতে পারে এবং বীমাগ্রহীতার অকাল মৃত্যুতে পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে সেই জন্য সামাজিক নিরাপত্তা স্কিম চালু করা হয়েছে।

  এই বীমার সুবিধাদি ও শর্তাবলীঃ-

ক) মেয়াদ সর্বনিম্ন ১০ বছর এবং সর্বোচ্চ ১৫ বছর।

খ) মাসিক কিস্তিতে প্রিমিয়াম প্রদান করতে পারবে।

গ) সর্বনিম্ন জমা ১০০/= (একশত টাকা) সর্বোচ্চ মাসিক জমা ৫,০০০/= (পাঁচ হাজার টাকা) সর্বোচ্চ এক বছরে (১২ মাসের টাকা) প্রিমিয়াম অগ্রিম জমা করতে পারবে।

ঘ) সর্বনিম্ন প্রবেশকালীণ বয়স ১৮ বছর, সর্বোচ্চ প্রবেশকালীণ বয়স ৪৫ বছর। মেয়াদপূর্তীকালীণ বয়স ৬০ বছরের বেশী হবে না। নতুন এই স্কিমের জন্য শুধুমাত্র একটি নির্ধারিত ফরম পূরণ করতে হবে।

ঙ) প্রস্তাবপত্রের সাথে বয়সের প্রমাণক অবশ্যই দাখিল করতে হবে।

চ) কোন ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট এই বীমায় প্রদান করতে হবে না।

জ) মেয়াদ শেষে বীমাকৃত অর্থ (লাভসহ) প্রদান। বীমাগ্রাহকের অকাল মৃত্যু হলে বীমাকৃত অর্থ অর্জিত লাভসহ মনোনীতককে প্রদান করা হবে।

ঝ) প্রদত্ত প্রিমিয়ামের উপর আয়কর রেয়াত পাওয়া যায়।

ঞ) এই বীমায় ২ (দুই) বছর প্রিমিয়াম প্রদানের পর সমর্পণ ও ঋণ গ্রহণ করা যাবে।       

                       

স্কিমটির প্রিমিয়াম রেইট নিম্নরূপঃ-

          মাসিক প্রিমিয়াম

(টাকার) মেয়াদ (বছর)

বীমা অংক (টাকা)

১০০

১০

১২,০০০

১০০

১১

১৩,২০০

১০০

১২

১৪,৪০০

১০০

১৩

১৫,৬০০

১০০

১৪

১৬,৮০০

১০০

১৫

১৮,০০০

 

 

৭. প্রমিলা ডি.পি.এস স্কিম (লাভসহ)-টেবিল ৬৪

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। নারীদের অধিকাংশ গ্রামে বাস করে। তাদের বেশীর ভাগ অল্প শিক্ষিত এবং স্বাধীন আয় নেই। আবার কিছু সংখ্যক আছেন যারা উচ্চ শিক্ষিত এবং উচ্চবিত্ত। অল্প শিক্ষিত ও উচ্চ শিক্ষিতসহ সকল নারীর অর্থনৈতিক,রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। একই সাথে বীমা নীতিতে বীমায় নারীর বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। জীবন বীমা কর্পোরেশন নারীর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এবং বীমা নীতির গুরুত্ব অনুধাবন করে নারীদের জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি নতুন স্কিম প্রণয়ণ করতে যাচ্ছে।

বৈশিষ্ট্য:

১।     এ বীমার নাম প্রমিলা ডিপিএস স্কিম হলেও পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই এ বীমা গ্রহণ করতে পারবেন ।

২।     এ বীমায় মহিলা জীবনের জন্য প্রচলিত প্রথম গর্ভধারণ ধারা প্রযোজ্য হবে না ।

৩।     মাসিক কিস্তিতে প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। তবে একবারে সর্বোচ্চ এক বছরের (১২ মাসের) প্রিমিয়াম অগ্রিম   জমা করা যাবে।

৪।      সর্বনিম্ন ৫ বছর হতে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের মধ্যে যে কোন মেয়াদে এ বীমা পলিসি গ্রহণ করা যাবে।

৫।     সর্বনিম্ন  প্রবেশকালীন বয়স ১৮ বছর, সর্বোচ্চ প্রবেশকালীন বয়স ৫৫ বছর। মেয়াদপূর্তীকালীন বয়স ৬০ বছরের বেশি হবে না।

নতুন এই স্কিমের জন্য প্রস্তাবপত্র হিসেবে শুধুমাত্র একটি নির্ধারিত ফরম পূরণ  করতে হবে। প্রস্তাবপত্রের সাথে বয়সের প্রমাণক অবশ্যই দাখিল করতে হবে।

৬।     কোন ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট এই বীমায় প্রদান করতে হবে না।

৭।      সর্বনিম্ন  মাসিক জমা টাকা ১০০/- (একশত) সর্বোচ্চ মাসিক জমা টাকা ১০,০০০/- (দশ হাজার)।

৮।     মেয়াদ শেষে বীমাকৃত অর্থ (লাভসহ) বীমাগ্রাহকে প্রদান। বীমাগ্রাহকের অকাল মৃত্যু হলে বীমাকৃত অর্থ অর্জিত লাভসহ মনোনীতককে প্রদান করা হবে।

৯।      প্রদত্ত প্রিমিয়ামের উপর আয়কর রেয়াত পাওয়া যাবে।

১০।    এই বীমায় সমর্পণ ও ঋণ গ্রহণ করা যাবে।

১১।    এ বীমায় প্রিমিয়াম দেয় পদ্ধতিতে শুধু অপশন “সি” প্রযোজ্য হবে।

১২।    বড় অংকের বীমা এবং দেয় পদ্ধতির উপর এ বীমায় কোন রিবেট প্রদান করা হবে না।

 

 

৮.গ্রামীণ জীবন বীমা (লাভসহ) প্ল্যান-৯১

বাংলাদেশের স্বল্প আয়ের মানুষ, কৃষক-শ্রমিক, সমবায়ী পশুপালক, মৎস্যজীবী, কামার, কুমার, তাঁতীসহ যে কোন ব্যক্তি এ পরিকল্পনার আওতায় ন্যূনতম ব্যয়ে জীবন বীমার কল্যাণ লাভ করতে পারেন। গ্রামীণ জীবন বীমা পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হচ্ছে শ্রমজীবী মেহনতী মানুষের আর্থিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এবং ইহা নিঃসন্দেহে গ্রাম বাংলায় আপামর জনসাধারণের কাছে বীমার সুফল পৌঁছে দিতে সক্ষম।

 

বিশেষ সুবিধাবলী

(১) প্রিমিয়ামের হার অন্যান্য পলিসির চেয়ে তুলনামূলকভাবে খুব কম।

(২) এই পরিকল্পনায় সর্বোচ্চ ২০,০০০.০০ টাকা পর্যন্ত পলিসি দেয়া হয়।

(৩) সাধারণতঃ ডাক্তারী পরীক্ষাবিহীন বীমার আওতায় এই পলিসি দেয়া হয় বলে বীমাগ্রাহকের প্রবেশকালীন বয়স সর্বোচ্চ ৪০ বছরে সীমিত থাকবে। বয়সের সন্তোষজনক প্রমাণপত্র প্রস্তাব পত্রের সাথে অবশ্যই প্রদেয়।

(৪) এই পলিসির প্রিমিয়াম বার্ষিক, ষান্মাসিক ও ত্রৈমাসিক কিস্তিতেও দেয়া যায়।

(৫) দু-বছর চালু থাকার পর বীমাগ্রাহক পরবর্তী কোন প্রিমিয়াম সময়মত পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলেও পলিসি তামাদি হবে না। সম্প্রসারিত সাময়িক বীমার (Extended Term Insurance) সাহায্যে দেয় তারিখ থেকে পরবর্তী বারো মাস ঝুঁকি বলবৎ থাকবে এবং এই সময়ের মধ্যে বীমাগ্রাহক সুদসহ বকেয়া প্রিমিয়াম দিয়ে বীমাপত্র চালু করে নিতে পারবেন। এই বর্দ্ধিত সময়ের মধ্যেও বীমাগ্রাহক সুদসহ বকেয়া প্রিমিয়াম দিতে ব্যর্থ হলে পলিসি আপনাহতেই পরিশোধিত বীমায় রূপান্তরিত হবে।

(৬) অন্যান্য জীবন বীমা পলিসির মত এই বীমার জন্য দেয় প্রিমিয়ামের উপরও আয়কর রেয়াত পাওয়া যায়।

(৭) শহরে বসবাসকারী স্বল্পতম আয়ের মানুষও এ পরিকল্পনার সুযোগ নিতে পারেন।

(৮) এই তালিকায় বড় অংক এবং প্রিমিয়াম দেয় পদ্ধতির উপর কোন প্রকার রিবেট দেয়া হয় না।

(৯) ত্রৈমাসিক কিস্তিতে প্রিমিয়াম দেয়া হলে হাজার প্রতি অতিরিক্ত ০.৫০ টাকা ধার্য করতে হবে।

(১০) লাভ হিসেবে বোনাস দেয়া হয়।

(১১) নতুন ফসল উঠার পর হাতে নগদ টাকা একসাথে এলে যে কোন কৃষিজীবী মানুষ সহজেই পলিসি নিতে পারেন

 

৯. ব্যক্তিগত পেনশন বীমা পলিসি

(একই সাথে জীবনের নিরাপত্তা এবং আজীবন পেনশন)

ব্যক্তিগত পেনশন বীমা পলিসিঃ

পেশাজীবী ও কর্মজীবী মানুষ স্বভাবতঃই অবসর জীবনে নিরুদ্বেগ স্বচ্ছল শান্তিময় দিন যাপনের নিশ্চয়তা চান। পরিণত বয়সে যখন নিয়মিত আয়ের কোন নিশ্চয়তা থাকে না, পেনশন বীমা পলিসি ঠিক তখনই নিয়মিত মাসিক অর্থাগমের ব্যবস্থা করে। অবসর জীবনের আর্থিক প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রেখেই তৈরী করা হয়েছে আমাদের পেনশন বীমা পরিকল্পনা। যে কোন পেশায় নিয়োজিত মানুষ এই পলিসি নিতে পারেন। এর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো কর্মজীবনে অকাল মৃত্যুতে পরিবারের জন্য আর্থিক নিরাপত্তা বিধান যা অন্য কোন সঞ্চয় মাধ্যমে সম্ভব নয়।

 

পেনশন বীমার আকর্ষণ/সুবিধাদিঃ

  • একই সাথে কর্মজীবনে অকাল মৃত্যুতে জীবন বীমার আর্থিক নিরাপত্তা এবং অবসর জীবনের জন্য আমরণ পেনশনের ব্যবস্থা।
  • পেনশন প্রদান শুরুর ১০ (দশ) বছরের মধ্যে বীমাগ্রহীতার মৃত্যু হলে দশ বছরের বাকী সময়ের জন্য পেনশনভোগীর মনোনীতকের (নমিণীর) পেনশন লাভের গ্যারান্টি।
  • পেনশন প্রদান শুরুর নির্ধারিত তারিখের পূর্বে বীমাগ্রহীতার স্বাভাবিক মৃত্যু হলে নিম্নোক্ত বকল্পের যেটিতে বেশী অর্থ পাওয়া যায়, তা মনোনীতককে এককালীন পরিশোধের নিশ্চয়তা,

(ক) প্রথম বছরের প্রিমিয়াম বাদে প্রদত্ত সকল প্রিমিয়াম ৭% লাভসহ প্রদান:

অথবা

(খ) একটি বার্ষিক প্রিমিয়ামের ১৫ (পনের) গুণ অর্থ প্রদান।

(গ) অর্নদিকে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বীমার ক্ষেত্রে (DIAB) সহ পলিসির ক্ষেত্রে) দুর্ঘটনার সাথে সাথে অথবা দুর্ঘটনার কারণে ৯০ দিনের মধ্যে বীমাগ্রহীতার মৃত্যু হলে সেক্ষেত্রে বার্ষিক প্রিমিয়ামের ৩০ গুণ অর্থ নমিনীক প্রদান করা হয়।

(ঘ) মেয়াদ পূর্তিতে পেনশনের টাকার ৫০% অথবা ১০০% সমর্পণ (কম্যুটেশন) করে এককালীন টাকা পাওয়ার সুবিধা।

(ঙ) বীমাপত্রের অনুকূলে বীমাগ্রাহক প্রয়োজনে ঋণ গ্রহণ করতে পারেন।

(চ) জীবন বীমার অন্যান্য পলিসির মতো পেনশন বীমার টাকা আয়করমুক্ত। প্রদত্ত প্রিমিয়ামের উপরেও আয়কর রেয়াত পাওয়া যায়।

 

উদাহরণ

যদি ৩৫ বছর বয়স্ক কোন ভদ্রলোক তাঁর ৫৭ বছর বয়স পূর্তির পর থেকে মাসিক ৫,০০০/- টাকা পেনশনের জন্য একটি পেনশন বীমা পলিসি গ্রহণ করেন। তাঁর প্রিমিয়াম এবং সুবিধাবলী হবে নিম্নরূপঃ

মাসিক ১০০/- টাকার জন্য এক বছরের প্রিমিয়াম ১৮৪.২০ টাকা

মাসিক ৫,০০০/- টাকার জন্য এক বছরের প্রিমিয়া ১৮৪.২০ x ৫০

                                                              =৯,২১০.০০ টাকা

অর্থাৎ বার্ষিক প্রিমিয়াম দিবেন ৯,২১০/= টাকা। এর পরিবর্তে মেয়াদপূর্তিতে (মাসিক ৫,০০০/= টাকা হিসাবে) তিনি বার্ষিক পেনশন পাবেন (৫,০০০ x ১২) = ৬০,০০০/= (ষাট হাজার) টাকা।

৫৭ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি জমা দেবেন,

(৯,২১০ x২২) = ২,০২,৬২০.০০ টাকা। বার্ষিক ৯,২১০/- টাকা প্রিমিয়াম দিলে তিনি যে আয়কর রেয়াত লাভ করবেন তা হিসাবের মধ্যে ধরলে প্রিমিয়াম খাতে প্রকৃত ব্যয় আরো কম হবে।

 

প্রিমিয়ামঃ কেবলমাত্র বার্ষিক বা ষান্মাষিক কিস্তিতে প্রদানযোগ্য।

 

সুবিধাদি

১।

‘’৫৭ বৎসর পূর্তির পর থেকে বীমাগ্রহীতা যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন পর্যন্ত ৫,০০০/= (পাঁচ হাজার টাকা) করে প্রতি মাসে নিয়মিত পেনশন পাবেন। এই অর্থ প্রতি মাসে তাঁর ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছে যাবে’’।

গ্যারান্টিকৃত দশ বছরে তিনি পাচ্ছেনঃ

২।

প্রতিমাসে ৫,০০০/= টাকা হিসাবে (৫,০০০ x ১২x ১০) = ৬,০০,০০০/= টাকা। এর পরেও তিনি যতদিন জীবিত থাকবেন নির্ধারিত পেনশন পেতেই থাকবেন।

৩।

পেনশন শুরু হওয়ার সময় তিনি ইচ্ছা করলে মাসিক পেনশনের অর্ধেক অথবা সম্পূর্ণ সমর্পণ করে এককালীন টাকা নিতে পারবেন। যদি তিনি মাসিক পেনশনের ৫০% (অর্ধেক) সমর্পণ করেন সেক্ষেত্রে তিনি এককালীন ২,৫৩,৪৫০/= টাকা পাবেন। উক্ত এককালীন টাকা ছাড়াও যথারীতি মাসিক পেনশন হিসাবে আজীবন প্রতিমাসে ২,৫০০/= টাকা পাবেন।

 

জীবন বীমা কর্পোরেশনের ব্যক্তিগত পেনশন বীমা পলিসি জীবনের ঝুঁকি গ্রহণের সংগে অবসর জীবনের জন্যে আজীব পেনশনের নিশ্চয়তা দেয়।

এতে রয়েছে ন্যূনতম দশ বছরের গ্যারান্টিসহ আজীবন পেনশনের ব্যবস্থা। চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী বা অন্য যে কোনো স্বাধীন পেশাজীবী সকলেই এই পলিসি নিতে পারেন।

স্বচ্ছল অবসর জীবনের জন্যে পেনশনের সুবিধা কে না চায়?

                                  

কিন্তু সব প্রতিষ্ঠানই তো পেনশনের

সুবিধা দিতে পারছে না।

তাহলে?-------------

 

অবশ্যই জীবন বীমা কর্পোরেশনের পেনশন বীমা পলিসি গ্রহণ করে অবসর জীবনের আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করুণ।

নিচে উল্লেখিত জন্মবার্ষিকী থেকে শুরু করে ১০ (দশ) বছরের গ্যারান্টিসহ আজীবন প্রতি মাসে অগ্রিম প্রদেয় ১০০ (একশত) টাকা পেনশনের জন্য বার্ষিক প্রিমিয়ামের হার এখানে দেয়া হলো। পেনশন আরম্ভ হওয়ার পূর্বে বীমাগ্রাহকের স্বাভাবিক মৃত্যু হলে ৭% লাভে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম বাদে সকল প্রদত্ত প্রিমিয়াম লাভসহ প্রদান অথবা স্বাভাবিক মৃত্যুতে নূন্যপক্ষে একটি বার্ষিক প্রিমিয়ামের ১৫ (পনের) গুণ অর্থ অথবা দুর্ঘটনাজড়িত মৃত্যুতে (DIAB সহ পলিসির ক্ষেত্রে) ১টি বার্ষিক প্রিমিয়াম এর ৩০ গুণ অর্থ নমিনীকে পরিশোধযোগ্য।

 

১০. শিশু নিরাপত্তা বীমা (লাভসহ) প্ল্যান-০৯

 

এই বীমা পরিকল্পনা যুগ্মভাবে প্রিমিয়ামদাতা ও শিশুর জীবনের উপর দেয়া হয়। সাধারণতঃ শিশুর পিতা এই পরিকল্পনা প্রিমিয়ামদাতা বলে বিবেচিত হন। যদি পিতা জীবিত না থাকেন অথবা বীমা গ্রহণের অযোগ্য বলে বিবেচিত হন তাহলে শিশুর মাতা পরিকল্পনায় প্রিমিয়ামদাতা হতে পারেন। শিশুর মাতাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষিতা (মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষা পাশ) হতে হবে এবং যে কোন বৃত্তি থেকে তাহার নিজস্ব রোজগার থাকতে হবে। মাতা-পিতা ভিনড়ব অন্য কেহ এই পরিকল্পনায় প্রিমিয়াম দাতা হতে পারেন না। এই পরিকল্পনার অধীনে শিশুর মেয়াদ-পূর্তিকালীন বয়স ১৮ হতে ২৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। এই বীমা সর্বনিমড়ব ৬ মাস বয়স্ক শিশুর জন্য নেয়া যেতে পারে এবঙ ৮ থেকে ২৪ বছর মেয়াদের হতে পারে। কোন ক্রমেই এই পরিকল্পনায় বীমার অংক ৬,০০০.০০ টাকার কম হবে না। ডাক্তারী পরীক্ষাবিহীন কোন প্রস্তাব-পত্র বিবেচনা করা যাবে না। 37c01b0b4d967293cb81eb65138c2e31ডাক্তারী পরীক্ষায় শিশু ও প্রিমিয়ামদাতা উভয়েই উনড়বতমান জীবন হিসেবে প্রতীয়মান হলে প্রস্তাবপত্র গৃহীত হবে। এই পরিকল্পনার অধীনে শিশুর জন্য বহুমুখী নিরাপত্তা প্রদান করা হয়। যদি মেয়াদ-পূর্তির পূর্বে প্রিমিয়ামদাতার মৃত্যু হয় তাহলে মৃত্যুর দিন থেকে মেয়দা-পূর্তি পর্যন্ত দেয় প্রিমিয়াম মওকুফ হয়ে যায় এবং শিশুকে নিমেড়বাক্ত সুবিধাসমূহ দেয়া হয় ঃ-

(ক) প্রতি হাজার বীমার জন্য বার্ষিক ১০০ টাকা হারে মৃত্যুকাল হতে শুরু করে মেয়াদ-পূর্তি পর্যন্ত অথবা মেয়াদ-পূর্তির পূর্বে শিশুর মৃত্যু হলে শিশুর মৃত্যুর দিন পর্যন্ত দেয়া হয়।

(খ) মেয়াদ অন্তে অর্পিত বোনাসসহ বীমার ম্পূর্ণ টাকা প্রাদন করা হয়। এই সুবিধাগুলি বীমাকাল পর্যন্ত এবং পরবর্তী সময়ের জন্যও শিশুর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে দেয়। যদি প্রিমিয়ামদাতা ও শিশু দুজনেই বীমার মেয়াদ-পূর্তি পর্যন্ত বেঁচে থাকেন, তাহলে মেয়াদ অন্তে অর্পিত বোনাসসহ বীমাকৃত অর্থ প্রদান করা হয়। যদি মেয়াদ-পূর্তির পূর্বে শিশুর মৃত্যু হয় হাহলে নিমেড়ব বর্ণিত তালিকা অনুসারে বীমার টাকা প্রিমিয়ামদাতাকে দেয়া হয়।

 

মৃত্যুকালীন শিশুর বয়স ঃ
১  বছর  অর্পিত বোনসসহ  বীমা অংকের   ১০%
২  বছর  অর্পিত বোনসসহ  বীমা অংকের   ২০%
৩  বছর  অর্পিত বোনসসহ  বীমা অংকের   ৩০%
৪  বছর  অর্পিত বোনসসহ  বীমা অংকের   ৪০%
৫  বছর  অর্পিত বোনসসহ  বীমা অংকের   ৫০%
৬  বছর  অর্পিত বোনসসহ  বীমা অংকের   ৬০%
৭  বছর  অর্পিত বোনসসহ  বীমা অংকের   ৭০%
৮  বছর  অর্পিত বোনসসহ  বীমা অংকের   ৮০%
৯  বছর  অর্পিত বোনসসহ  বীমা অংকের   ৯০%
১০ বছর  ও ততোধিক অর্পিত বোনাসসহ স্মপূর্ণ বীমা অংক। 

এই বীমার সঙ্গে কোন অতিরিক্ত সুবিধার বীমা (Supplementary benefit) গ্রহণ করা যায় না। এই বীমার সমর্পন মূল্য দেয়া হয় লোন দেওয়া হয় না।

 

প্রতি হাজার টাকার বীমার বার্ষিক প্রিমিয়াম হার

নিকটতম জন্মদিনে শিশুর বয়স

বীমার মেয়াদ

নিকটতম জন্মদিনে প্রিমিয়ামদাতার বয়স

২০ বছর

২৫ বছর

৩০ বছর

৩৫ বছর

-

২৪

৪৯.৮০

৫০.৯০

৫২.৮০

৫৬.২০

-

২৩

৫১.৯০

৫২.৯০

৫৪.৬০

৫৭.৮০

-

২২

৫৪.১০

৫৫.১০

৫৬.৭০

৫৯.৬০

-

২১

৫৬.৬০

৫৭.০০

৫৯.০০

৬১.৭০

-

২০

৫৯.৩০

৬০.১০

৬১.৫০

৬৪.০০

-

১৯

৬২.৪০

৬৩.২০

৬৪.৪০

৬৬.৭০

-

১৮

৬৫.৯০

৬৬.৬০

৬৭.৭০

৬৯.৮০

-

১৭

৬৯.৭০

৭০.৪০

৭১.৫০

৭৩.৪০

-

১৬

৭৪.০০

৭৪.৭০

৭৫.৬০

৭৭.৪০

-১০

১৫

৭৮.৯০

৭৯.৪০

৮০.৩০

৮১.৯০

-১১

১৪

৮৪.৪০

৮৪.৯০

৮৫.৮০

৮৭.২০

-১২

১৩

৯০.৯০

৯১.৪০

৯২.১০

৯৩.৫০

-১৩

১২

৯৮.২০

৯৮.৫০

৯৯.৫০

১০০.৭০

-১৪

১১

১০৭.০০

১০৭.৪০

১০৮.০০

১০৯.২০

-১৫

১০

১১৭.৫০

১১৭.৯০

১১৮.৫০

১১৯.৭০

-১৬

১৩০.৩০

১৩০.৭০

১৩১.২০

১৩২.২০

১০-১৭

১৪৬.৩০

১৪৬.৭০

১৪৭.২০

১৪৮.০০

 

মন্তব্যঃ

(১) প্রিমিয়ামদাতার সন্নিকটবর্তী দুই বয়সের মাঝামাঝি, কোনো বয়সের প্রিমিয়ামের হার আনুপাতিক নিয়মে হিসাব করতে হবে।

(২) প্রস্তাবপত্রের সঙ্গে শিশু ও প্রিমিয়ামদাতার জন্য দুটি আলাদা ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট ফরম পূরণ করে সংযোজন করতে হবে।

 

প্রতি হাজার টাকার বীমার বার্ষিক প্রিমিয়াম হার

নিকটতম জন্মদিনে শিশুর বয়স

বীমার মেয়াদ

নিকটতম জন্মদিনে প্রিমিয়ামদাতার বয়স

৪০ বছর

৪৫ বছর

৫০ বছর

-

২৪

৬২.৬০

 

 

-

২৩

৬৩.৮০

 

 

-

২২

৬৫.১০

 

 

-

২১

৬৬.৮০

 

 

-

২০

৬৮.২০

৭৬.৯০

 

-

১৯

৭১.০০

৭৯.২০

 

১-৭

১৮

৭৩.৮০

৮১.৪০

 

-

১৭

৭৭.০০

৮৪.০০

 

-

১৬

৮০.৭০

৮৭.২০

 

-১০

১৫

৮৫.০০

৯০.৯০

১০১.৭০

-১১

১৪

৯০.০০

৯৫.৪০

১০৫.৫০

-১২

১৩

৯৬.০০

১০০.৯০

১১০.৩০

-১৩

১২

১০২.৯০

১০৭.৪০

১১৬.১০

-১৪

১১

১১১.৩০

১১৫.৩০

১২৩.২০

-১৫

১০

১২১.৪০

১২৫.০০

১৩২.৩০

-১৬

১৩৩.৮০

১৩৭.১০

১৪৩.১০

১০-১৭

১৪৯.৫০

১৫২.৪০

১৫৮.৩০

 

মন্তব্যঃ

(১) প্রিমিয়ামদাতার সন্নিকটবর্তী দুই বয়সের মাঝামাঝি, কোনো বয়সের প্রিমিয়ামের হার আনুপাতিক নিয়মে হিসাব করতে হবে।

(২) প্রস্তাবপত্রের সঙ্গে শিশু ও প্রিমিয়ামদাতার জন্য দুটি আলাদা ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট ফরম পূরণ করে সংযোজন করতে হবে।