আমাদের প্রত্যাশিত মেয়াদী বীমা আপনার ভবিষ্যতকে সম্ভাবনাময় করে তুলতে পারে। বীমাগ্রাহক মহলে আমাদের প্রত্যাশিত মেয়াদী বীমা ‘তিন কিস্তি বীমা পলিসি’ হিসেবেই সুপরিচিত। অর্থাৎ বীমাগ্রহীতা বেঁচে থাকলে বীমা মেয়াদকে তিনভাগে ভাগ করে প্রতিভাগ মেয়াদ শেষে বীমাকৃত অর্থের ২৫%, ২৫% এবং অবশিষ্ট ৫০% ও নির্ধারিত বোনাস প্রদান করা হয়।
এর মাধ্যমে বীমাগ্রাহক প্রধানত: ২টি সুবিধা পেয়ে থাকেন:
(১) বীমাকৃত অর্থ মেয়াদকালে তিন কিস্তিতে প্রাপ্তির ব্যবস্থা থাকায় এই বীমা ভবিষ্যতে আর্থিক প্রয়োজন একাধিকবার মেটাতে সক্ষম।
(২) প্রথম বা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা প্রদান করা সত্ত্বেও বীমার মেয়াদকালে মৃত্যু হলে বীমাকৃত সম্পূর্ণ অর্থ এবং নির্ধারিত সময়ে বোনাস প্রদান করা হয়। এটা এই বীমার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক।
বিশেষ সুবিধাদি:
(ক) প্রথম কিস্তির প্রাপ্ত (বীমার অংকের ২৫%) অর্থ অন্যত্র বিনিয়োগ করে যে লভ্যাংশ পাবেন তা নিয়েই বীমা পলিসির প্রিমিয়াম জমা দেয়া সম্ভব। উপরন্তু প্রাপ্ত প্রথম কিস্তির অর্থ মূলধন হিসেবে থেকে যাবে।
(খ) ২য় কিস্তির প্রাপ্ত (বীমা অংকের ২৫% ) সম্পূর্ণ অর্থ একইভাবে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারবেন।
(গ) ৩য় কিস্তি (শষ কিস্তি) হিসেবে বীমাগ্রহীতা পাবেন বীমা অংকের অবশিষ্ট ৫০% অর্থ নির্ধারিত সময়ের বোনাস।
(ঘ) বীমার মেয়াদ চলাকালীন জীবনের উপর মূল বীমার অর্থ-ঝুঁকি হিসেবে থাকবে এবং মেয়াদ শেষে অকল্পনীয় সঞ্চয় হবে যা আপনার জীবনে আর্থিক নিশ্চয়তা এনে দেবে।
এছাড়া দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ও অঙ্গহানীর অতিরিক্ত ঝুকিঁ (DIAB অথবা PDAB) গ্রহণ করা হলে নিন্মোক্ত সুবিধা দেয়া হয়:
(ক) বীমাগ্রাহক ১টি মাত্র প্রিমিয়াম দেয়ার পরও যদি দুর্ঘটনায় (৯০ দিনের মধ্যে/সাথে সাথে) মৃত্যুবরণ করেন তাহলে নমিনী পাবেন বীমাকৃত অর্থের দ্বিগুণ।
(খ) বীমার মেয়াদকালে দুর্ঘটনায় বীমাগ্রহকের ১টি পা/১টি হাত/ ১টি চোখ নষ্ট হলে তৎক্ষণাৎ বীমাকৃত অর্থের (৫০%) অর্ধ পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হবে। মূল বীমার অর্থ যথারীতি নির্দিষ্ট সময় অন্তে দেয়া হবে।
(গ) উভয় হাত/ উভয় পা / উভয় চোখ নষ্ট হলে অথবা ১ হাত এবং এক পা নষ্ট হলে তৎক্ষণাৎ বীমাকৃত অর্থের সমপরিমান অর্থ প্রদান করা হবে। ভবিষ্যতে দেয় অবশিষ্ট প্রিমিয়ামসমূহ মওকুফ হয়ে যাবে। বীমার নির্দিষ্ট সময় অন্তে মূল বীমার অর্থ দেয়া হবে।
(ঘ) দুর্ঘটনায় বীমাগ্রহকের সম্পূর্ণ অথবা স্থায়ী পঙ্গুত্ব হলে- পরবর্তী ১০(দশ) বছর যাবৎ বীমার এক দশমাংশ পরিমান অর্থ বার্ষিক বৃত্তি বা ভাতা হিসেবে প্রদান করা হবে। ভবিষ্যতে দেয় সকল প্রিমিয়াম মওকুফ করা হবে। মূল বীমার অর্থ নির্দিষ্ট সময় অন্তে দেয়া হবে।
প্রত্যাশিত মেয়াদী বা তিন কিস্তি বীমার জনপ্রিয়তা দ্রুত বেড়ে চলেছে। তার কারণ বীমাগ্রহাক জীবিতাবস্থায় ধাপে ধাপে বীমার টাকাটা লাভজনক খাতে কিংবা গঠনমূলক কাজে খাটাতে পারেন।
একটি পলিসি ক্রয়ের মাধ্যমে জীবন বীমার এই পরিকল্পনায় আপনিও আস্থা সহকারে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এই বীমা ১২, ১৫, ১৮, ২১, ২৪ অথবা ৩০ বছর মেয়াদের হয়ে থাকে।
মেয়াদকালীন বিভিন্ন সময় দেয় কিস্তির পরিমান নিম্নরূপ:
(ক) মেয়াদের এক তৃতীয়াংশ সময়কাল অতিবাহিত হওয়ার পরে বীমাকৃত অংকের ২৫ ভাগ।
(খ) মেয়াদের দুই- তৃতীয়াংশ সময়কাল অতিবাহিত হওয়ার পরে আবার শতকরা অংকের ২৫ ভাগ।
(গ) মেয়াদ শেষে বাকি ৫০ ভাগ।
তিন কিস্তি বীমার জনপ্রিয়তা
দ্রুত বেড়ে চলেছে--
কেন?
বীমাগ্রাহক জীবিতাবস্থায় বীমার টাকা লাভজনক খাতে খাতে খাটাতে পারেন।নির্দিষ্ট মেয়াদ পুর্তির আগে বা ১টি মাত্র প্রিমিয়াম প্রদানের পরেও বীমাগ্রহকের মৃত্যু হলে নমিনীকে বীমকৃত অংক প্রদেয়। একাধিকবার কিস্তির টাকা প্রদান করা সত্ত্বেও বীমার কালে বীমাগ্রাহকের মৃত্যু হলে বীমাকৃত সম্পূর্ণ টাকা প্রদেয়। দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ও অঙ্গহানীর অতিরিক্ত ঝুকিঁর (DIAB অথবা PDAB) গ্রহণের সুবিধা বিদ্যমান।