বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। নারীদের অধিকাংশ গ্রামে বাস করে। তাদের বেশীর ভাগ অল্প শিক্ষিত এবং স্বাধীন আয় নেই। আবার কিছু সংখ্যক আছেন যারা উচ্চ শিক্ষিত এবং উচ্চবিত্ত। অল্প শিক্ষিত ও উচ্চ শিক্ষিতসহ সকল নারীর অর্থনৈতিক,রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। একই সাথে বীমা নীতিতে বীমায় নারীর বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। জীবন বীমা কর্পোরেশন নারীর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এবং বীমা নীতির গুরুত্ব অনুধাবন করে নারীদের জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি নতুন স্কিম প্রণয়ণ করতে যাচ্ছে।
বৈশিষ্ট্য:
১। এ বীমার নাম প্রমিলা ডিপিএস স্কিম হলেও পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই এ বীমা গ্রহণ করতে পারবেন ।
২। এ বীমায় মহিলা জীবনের জন্য প্রচলিত প্রথম গর্ভধারণ ধারা প্রযোজ্য হবে না ।
৩। মাসিক কিস্তিতে প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। তবে একবারে সর্বোচ্চ এক বছরের (১২ মাসের) প্রিমিয়াম অগ্রিম জমা করা যাবে।
৪। সর্বনিম্ন ৫ বছর হতে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের মধ্যে যে কোন মেয়াদে এ বীমা পলিসি গ্রহণ করা যাবে।
৫। সর্বনিম্ন প্রবেশকালীন বয়স ১৮ বছর, সর্বোচ্চ প্রবেশকালীন বয়স ৫৫ বছর। মেয়াদপূর্তীকালীন বয়স ৬০ বছরের বেশি হবে না।
নতুন এই স্কিমের জন্য প্রস্তাবপত্র হিসেবে শুধুমাত্র একটি নির্ধারিত ফরম পূরণ করতে হবে। প্রস্তাবপত্রের সাথে বয়সের প্রমাণক অবশ্যই দাখিল করতে হবে।
৬। কোন ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট এই বীমায় প্রদান করতে হবে না।
৭। সর্বনিম্ন মাসিক জমা টাকা ১০০/- (একশত) সর্বোচ্চ মাসিক জমা টাকা ১০,০০০/- (দশ হাজার)।
৮। মেয়াদ শেষে বীমাকৃত অর্থ (লাভসহ) বীমাগ্রাহকে প্রদান। বীমাগ্রাহকের অকাল মৃত্যু হলে বীমাকৃত অর্থ অর্জিত লাভসহ মনোনীতককে প্রদান করা হবে।
৯। প্রদত্ত প্রিমিয়ামের উপর আয়কর রেয়াত পাওয়া যাবে।
১০। এই বীমায় সমর্পণ ও ঋণ গ্রহণ করা যাবে।
১১। এ বীমায় প্রিমিয়াম দেয় পদ্ধতিতে শুধু অপশন “সি” প্রযোজ্য হবে।
১২। বড় অংকের বীমা এবং দেয় পদ্ধতির উপর এ বীমায় কোন রিবেট প্রদান করা হবে না।