সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, মৃত্যু আমাদের অবধারিত। কখন কার ডাক আসে আমরা কেউ বলতে পারি না। তাই আমাদের পরিবারের স্বার্থে মিতব্যয়ী হয়ে সঞ্চয়ের মনোভাব রাখতে হবে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে আমরা আমাদের সন্তানাদিগকে স্বাচ্ছন্দের জীবন উপহার দিতে পারি।
বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সিলেটের জেলা প্রশাসন ও জীবন বীমা কর্পোরেশন এর উদ্যোগে দাবীর চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের উন্নতির স্বার্থে এবং ঝুঁকিমুক্ত আর্থিক ব্যবস্থার লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে জীবন বীমা কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর এই অবদান তৎকালীন সময় নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বীমা শিল্পকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছেন। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল থেকে স্মার্ট হওয়ার পথে। স্মার্ট অর্থনীতির উপর ভিত্তি করে আগামী বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জীবন বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান।
সহকারী কমিশনার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নিশাত আনজুম এর সঞ্চালনায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জীবন বীমা কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) উপসচিব আবুল খায়ের মো. হাফিজুল্লাহ খান।
দাবীর চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে ৫জনকে মুত্যুদাবীর ৬৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ৫শত ৬ টাকা ও মেয়াদোত্তর বীমাদাবীর ৮জনকে ১ কোটি ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪শত ৪০ টাকার চেক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সিলেটের জেলা প্রশাসন, জীবন বীমা কর্পোরেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বীমা দাবীর চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জীবন বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।